রংপুরের গণপিটুনি হত্যা: ভিডিওতে শনাক্ত অন্তত সাতজন, গ্রেপ্তার নেই

- প্রকাশঃ ১২:১৬:২২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫
- / 15
রংপুরের তারাগঞ্জে দুই ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে মারধরে জড়িত অন্তত সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে | ছবি: ভিডিও থেকে সংগৃহীত
রংপুরের তারাগঞ্জে দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করা ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া তিনটি ভিডিও বিশ্লেষণ করে অন্তত সাতজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে পুলিশ তাদের এখনও গ্রেপ্তার করতে পারেনি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী, পুলিশ ও নিহতদের পরিবারজন অপরাধীদের শনাক্ত করেছেন।
ঘটনা ঘটেছে ৯ আগস্ট রাত ৯টার দিকে তারাগঞ্জের সায়ার ইউনিয়নের বটতলা বুড়িরহাট এলাকায়। নিহতরা হলো কুর্শা ইউনিয়নের ঘনিরামপুর গ্রামের রূপলাল দাস (৪০) ও মিঠাপুকুরের ছড়ান বালুয়া গ্রামের প্রদীপ লাল (৩৫)। তারা আত্মীয়। রূপলাল স্থানীয় বাজারে জুতা সেলাই করতেন এবং প্রদীপ লাল ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
ভিডিওতে দেখা গেছে, ভ্যানের ওপর আটকে থাকা রূপলাল ও প্রদীপকে মারধর করা হচ্ছে। ঘটনার সময় রূপলালের পেছন থেকে সাদা শার্ট পরিহিত খায়রুল ইসলাম তাঁকে ধর্ষণ করেন। আকাশি রঙের গেঞ্জি পরিহিত রুবেল পাইকার প্রদীপকে আঘাত করেন। এরপর সাদা প্রিন্টের শার্ট পরিহিত সোহাগ হোসেনও প্রদীপকে মারধর করেন। সবুজ রঙের গেঞ্জি পরিহিত নজরুল ইসলাম রূপলালকে আঘাত করেন। এছাড়া স্থানীয় বাসিন্দা এবাদত হোসেন, আশরাফুল ইসলাম ও মেহেদী হাসানকে মারধরে অংশ নিতে দেখা গেছে।
নিহত রূপলালের ছেলে জয়দাস জানিয়েছেন, ভিডিও ও প্রতিবেশীদের কাছে খোঁজাখবর নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ২৫-৩০ জন লোক এলোপাতাড়ি মারধর করেছে। শত শত মানুষ তা দেখেছে, কেউ বাধা দেয়নি।
অভিযুক্তদের স্বজনরা দাবি করেছেন, কেউ মারেনি, কেউ শুধু দেখতে গিয়েছিলেন। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠেছে, বুড়িরহাটের মানুষ আমার স্বামীকে মেরে ফেলেছে। স্বামী ছাড়া সংসার চালানো সম্ভব হয়নি।
তারাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এ ফারুক জানিয়েছেন, আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের শনাক্ত করা হয়েছে, তারা এলাকার বাইরে পালিয়েছে। ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি নেতা-কর্মীরা নিহত পরিবারকে সহায়তা করতে গিয়ে বলেন, মোব সৃষ্টি করে চোর আখ্যা দিয়ে রূপলাল ও প্রদীপকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকারীদের বিচার চাই।