ঢাকা ০৭:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রশাসনকে

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৭:১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
  • / 2

ছবি: সংগৃহীত

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি) এবং সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁরা।

প্রতিবাদকারীরা দুর্ঘটনাটিকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কার্যকর পদক্ষেপ এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।

প্রতিবাদের শুরুতে মহাসড়ক প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা, এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই চলাচলরত যানবাহনের ফিটনেস ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই শুরু করেন। তাঁরা জানান, অন্তত ১০টি বাসের মধ্যে বেশির ভাগের কাগজপত্র সঠিক ছিল না। এসময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সুবিপ্রবির শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন বলেন, আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করি।

শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ১২ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, আমাদের বোন কবরে চলে গেছে, অথচ ঘাতক চালক এখনো ধরা পড়েনি। প্রশাসন কী করছে আমরা জানতে চাই। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

প্রাসঙ্গিক

শেয়ার করুন

সুনামগঞ্জে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ, ১২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম প্রশাসনকে

প্রকাশঃ ০৭:১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫

সুনামগঞ্জ-সিলেট মহাসড়কে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সুবিপ্রবি) এবং সুনামগঞ্জ টেক্সটাইল ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে শান্তিগঞ্জ পয়েন্টে বিক্ষোভে অংশ নেন তাঁরা।

প্রতিবাদকারীরা দুর্ঘটনাটিকে ‘রাষ্ট্রীয় হত্যাকাণ্ড’ আখ্যা দিয়ে দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার, নিরাপদ সড়কের দাবিতে কার্যকর পদক্ষেপ এবং নিহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানান।

প্রতিবাদের শুরুতে মহাসড়ক প্রায় আধা ঘণ্টা অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা, এতে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশের অনুরোধে এবং চলমান এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় নিয়ে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা।

বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই চলাচলরত যানবাহনের ফিটনেস ও চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই শুরু করেন। তাঁরা জানান, অন্তত ১০টি বাসের মধ্যে বেশির ভাগের কাগজপত্র সঠিক ছিল না। এসময় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা।

সুবিপ্রবির শিক্ষার্থী তাকবিল হোসেন বলেন, আমরা পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, তারা যেন ফিটনেসবিহীন বাসগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু তারা কিছুই করেনি। বাধ্য হয়ে আমরা নিজেরাই যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করি।

শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ১২ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে হুঁশিয়ারি দেন, আমাদের বোন কবরে চলে গেছে, অথচ ঘাতক চালক এখনো ধরা পড়েনি। প্রশাসন কী করছে আমরা জানতে চাই। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে আমরা কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”