অনিয়মের অভিযোগে জাকসু নির্বাচন বর্জন করল ছাত্রদল

- প্রকাশঃ ০৪:১০:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 21
সংবাদ সম্মেলনে সময় উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদলের অন্যান্য প্রার্থী ও নেতারা | ছবি: প্রজন্ম কথা
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) এবং হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। অনিয়ম ও পক্ষপাতের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন সংগঠনটির নেতৃত্বাধীন প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী শেখ সাদী হাসান।
এর আগে সকাল ৯টায় শুরু হয় জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ, যা বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার আগেই ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল নির্বাচনের বর্জনের ঘোষণা দেয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ভিপি প্রার্থী শেখ সাদী হাসান অভিযোগ করেন, “নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামীর ঘনিষ্ঠ একটি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালট ব্যবহার করা হচ্ছে। ভোট গণনায় কারচুপির নীলনকশা বাস্তবায়ন করতে এই ব্যালট ব্যবহার করা হচ্ছে বলে আমাদের আশঙ্কা।”
তিনি আরও বলেন, আমরা নতুন ব্যালট পেপারের দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন তা না মেনে একই প্রতিষ্ঠানের ব্যালট দিয়েই ভোট গ্রহণ অব্যাহত রাখে। এতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রদল সমর্থিত সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী। তিনি অভিযোগ করেন, ভোটকেন্দ্রে তাঁদের প্রার্থীদের এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি। বিভিন্ন হলে সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত জোটের ভিপি প্রার্থী আরিফ উল্লাহ অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন যথাযথ প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়েছে। তাঁর দাবি, সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ ছিল না, নানা অসঙ্গতি স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, এবারের জাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে মোট ২৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৯ জন প্রার্থী। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি আবাসিক হলে ৩১৫টি পদে লড়ছেন ৪৬৭ জন প্রার্থী। মোট ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯১৯, এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১০২ এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৮১৭।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ছাত্রদলের আনা অভিযোগ সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।