ভাগ্য পরিবর্তন ফল চাষে সিরাজুলের

- প্রকাশঃ ১০:২০:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫
- / 40
সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ইউনিয়নের হাঁটুভাঙা গ্রামের বাসিন্দা। স্বপ্ন দেখেন কৃষি উদ্যোক্তা হওয়ার। যেই চিন্তা, সেই কাজ। টিলা ও সমতল মিলিয়ে ১০ একর জায়গাজুড়ে বাড়ির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমণিসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে শুরু করেন মাল্টা চাষ। সঙ্গে আরও বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছও রোপণ করেন।
প্রথমদিকে সফল না হলেও এখন সাফল্য পেয়েছেন সিরাজুল ইসলাম। নিজের উৎপাদিত মাল্টা, আম, পেয়ারা, আনারস, লিচু, কুল বরই, নারিকেল ও কাঁঠালসহ ফল-ফসল বিক্রি করে প্রতিবছর প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করেন তিনি। তার এই অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে পেয়েছেন কৃষিক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (এআইপি) অ্যাওয়ার্ড।
সিরাজুল ইসলামের সফলতার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ গল্প। সবসময় তার চিন্তা ছিল ব্যবসা করা। জীবনের শুরুতে অস্ট্রেলিয়া থেকে গরু এনে গড়ে তুলেছিলেন খামার। করেছেন ঠিকাদারি, পাথরের ব্যবসাও। ২০০৫ সালে খামার ব্যবসা বন্ধের পর পাথরের ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু পাথরে ব্যবসায়ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হতে হয় তাকে।
বর্তমানে তার বাগানে তিন হাজার মাল্টা গাছ, এক হাজার আম, ২০ হাজার আনারস ও ৪০টি ভিয়েতনামি নারিকেল গাছ রয়েছে। এছাড়াও ড্রাগন, সফেদা,
কাঁঠাল, লিচু, আজওয়া খেজুরসহ বিভিন্ন ধরনের ফল গাছ রয়েছে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর তিন হাজার মাল্টা গাছ থেকে ১৫-২০ লাখ টাকার মাল্টা ও ২০ হাজার আনারস গাছ থেকে প্রায় ৮০ লাখ টাকার আনারস বিক্রি করা হয়। এছাড়াও প্রতি বছর গড়ে তিন লাখ টাকার আম, ৩-৪ লাখ টাকার নারিকেল, ২০ হাজার টাকার ড্রাগন ও ৫০-৬০ হাজার টাকার কাঁঠালসহ আরও ২০-৩০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেন। এর বাইরে সমতল জমিতে সবজি চাষ করছেন তিনি। প্রতিবছর ফল ও সবজি বিক্রি করে প্রায় দেড় কোটি টাকা আয় করেন সিরাজুল।
প্রতিবেদক:মোঃ করিম উদ্দিন