ইসরায়েলের প্রথম হামলার ‘পূর্ণ প্রতিশোধ’ না নেওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের যুদ্ধবিরতির আলোচনায় বসা সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে ইরান। মধ্যপ্রাচ্যের জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তেহরানের এই অবস্থান শান্তি প্রতিষ্ঠার আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে কঠিন করে তুলছে।
ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, কাতার ও ওমানের কূটনৈতিক উদ্যোগে ইরানকে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়। তবে ইরান সাফ জানিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলের আগ্রাসনের ‘উপযুক্ত জবাব’ না দেওয়া পর্যন্ত তারা কোনো আলোচনায় বসবে না।
রয়টার্সকে দেওয়া বক্তব্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ইরানি কর্মকর্তা বলেন, ইরান কাতার ও ওমানকে পরিষ্কারভাবে জানিয়েছে, ইসরায়েলের প্রথম হামলার পূর্ণ প্রতিশোধ সম্পন্ন হওয়ার পরই কেবল তারা প্রকৃত অর্থে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত থাকবে।
এর আগে, কিছু ইসরায়েলি গণমাধ্যম দাবি করে, কাতার ও ওমানের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতির পথ খুঁজছে ইরান। তবে ইরানের শীর্ষ মহলের ঘনিষ্ঠ সূত্র এসব খবর ‘মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে আখ্যা দিয়েছে। তাদের ভাষ্য, এ ধরনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এটি বাস্তবতা বিকৃত করার একটি প্রচেষ্টা।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরানের এই কূটনৈতিক অবস্থান একদিকে যেমন প্রতিরোধের নীতির প্রতি তাদের অঙ্গীকারকে স্পষ্ট করছে, তেমনি যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনাও অনিশ্চিত করে তুলছে। ফলে সংঘাত বন্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থতা প্রচেষ্টায় বড় বাধা সৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে, মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকায় আন্তর্জাতিক মানবিক সংস্থাগুলো যুদ্ধবিরতির গুরুত্ব তুলে ধরছে। কিন্তু ইরানের প্রতিশোধের নীতিকে সামনে রেখে কূটনৈতিক সমাধানের পথ আপাতত অন্ধকারই দেখছে পর্যবেক্ষক মহল।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স