টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে আজ বিকেল ৪ টায় মাল্টিপারপাস ভবনের সামনে শহিদ স্মৃতি পাঠচক্রের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। “সত্য জানি, সত্য জানাই” স্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পাঠচক্রের একাংশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনায় বক্তারা মে দিবসের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, শ্রমিক আন্দোলনের তাৎপর্য এবং শ্রমিকদের বর্তমান বাস্তবতা তুলে ধরেন। শ্রমিকদের অধিকার, কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সভাপতি তৌকির আহমেদ বলেন, আজ ১লা মে—আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস। এটি শুধু একটি দিন নয়, এটি এক ইতিহাস, এক সংগ্রামের প্রতীক। ১৮৮৬ সালের এই দিনে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কর্মঘণ্টার দাবিতে রাজপথে নেমেছিলেন। তাদের সেই আন্দোলন রক্তাক্ত হয়েছিল, প্রাণ হারিয়েছিলেন অনেক নিরীহ শ্রমিক। তবে সেই আত্মত্যাগ বৃথা যায়নি। আজ বিশ্বের নানা দেশে শ্রমিকদের অধিকার, সম্মান ও সুরক্ষা নিয়ে যে কথা বলা হয়, তার পেছনে রয়েছে সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের দীর্ঘ পথচলা।
এই দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে শ্রমিকই সমাজের মূল চালিকাশক্তি। কারখানা, অফিস কিংবা ক্ষেত-খামার—সর্বত্র তাদের অবদান অনস্বীকার্য। অথচ আজও অনেক শ্রমিক ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত, নিরাপদ কর্মপরিবেশের অভাব রয়েছে, সামাজিক নিরাপত্তাও নিশ্চিত নয়।
আমরা চাই, শ্রমিক-মালিক সম্পর্ক হোক সৌহার্দ্যপূর্ণ। রাষ্ট্র যেন শ্রমিকদের অধিকার সুনিশ্চিত করে।
‘শ্রমের মর্যাদা থাকলে দেশ উন্নত হয়, সমাজ এগিয়ে যায়’—এই সত্য আমরা যেন সবাই হৃদয়ে ধারণ করি।
পরিশেষে বলব—আসুন, শ্রমিকদের সম্মান করি, তাদের অধিকার রক্ষা করি এবং এই দিবসকে কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ না রেখে বাস্তব পরিবর্তনের অনুপ্রেরণায় পরিণত করি।”
উপ-দপ্তর সম্পাদক সমাপ্তি খান শিশু শ্রমের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, “শিশুদের হাতে খাতা-কলম দিন, কাজ নয়।” তিনি শিশু শ্রম বন্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ ও সম্মিলিত উদ্যোগের ওপর জোর দেন।
আলোচনার অংশ হিসেবে ২৬ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন বিষয়ক আলোচনার আলোকে আজ একটি কুইজের আয়োজন করা হয়। এতে বিজয়ীরা হলেন
প্রথম নুসরাত জাহান অর্পি, দ্বিতীয় মো. কামাল মিয়া ও তৃতীয় আসাদুজ্জামান শুভ।