আজ ৫ জুন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। ২০২৪ সালের এই দিনে, হাইকোর্টের একটি রায়ের মাধ্যমে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের জন্য ৩০% কোটা পুনর্বহাল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নেমে আসে, যা পরবর্তীতে একটি ব্যাপক গণআন্দোলনে রূপ নেয়।
প্রথমদিকে, আন্দোলনটি কোটা সংস্কারের দাবিতে সীমাবদ্ধ থাকলেও, সরকারের কঠোর দমন-পীড়নের ফলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ গণআন্দোলনে পরিণত হয়। ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত, “জুলাই গণহত্যা” নামে পরিচিত এই সময়ে, নিরাপত্তা বাহিনী ও সরকারপন্থী সংগঠনগুলোর হাতে প্রায় ১,৪০০ মানুষ নিহত হয়।
এই সহিংসতার প্রতিক্রিয়ায়, ৫ আগস্ট ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর, নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। এই সরকার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে এবং রাজনৈতিক সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করে।
৫ জুন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় পরিবর্তনের দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই দিনটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সূচনা এবং পরবর্তীতে একটি সরকার পতনের প্রেক্ষাপট তৈরি করে, যা দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটে গভীর প্রভাব ফেলেছে।
কোটা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে যে পরিবর্তন সূচিত হয়েছিল, তা শুধু একটি সরকারের পতন নয়, বরং একটি নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সূচনা করে। এখন দেখার বিষয় এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কতটা দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও স্থায়ী গণতান্ত্রিক কাঠামো গঠনে সফল হয়।
