ঢাকা ০৮:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫, ১২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত

ইমতিয়াজ উদ্দিন, ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১০:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫
  • / 14

‘জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন ২০২৫) সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের রাজনীতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র সংগঠনের একত্রিত সহাবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা এনেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মিশন ও ভিশন রয়েছে, যা তারা যুক্তিপূর্ণ প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে। তবে এই ভিন্নতা সত্ত্বেও সকল দলের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা জরুরি।”

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন:

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন

  • যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন

  • প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক    

  • ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা।

অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি না পেলে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ কেউই নিরাপদ নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একাত্ম থাকা সবাই যেন বিভক্ত না হয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবকে ভবিষ্যতে যেন কেউ ‘মবোক্রেসি’ আখ্যা না দেয়, সে জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের উৎপত্তির মূল কারণ হলো অবৈধ নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার ধ্বংস। এসব কারণ চিহ্নিত করে একটি জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তুললে ভবিষ্যতে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শক্তিতে রূপ নিতে পারবে না।”

আলোচনায় আরও অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারা সবাই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর প্রয়োজনীয়তা, ভবিষ্যৎ পথনকশা ও ছাত্রসমাজের করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ভাবনা নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১০:৫৮:১৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫

‘জুলাই ঘোষণাপত্র: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভাবনা’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (২২ জুন ২০২৫) সিএসই বিভাগের ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ)-এর উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন। তিনি বলেন, “জুলাই গণ-অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ের রাজনীতিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল ছাত্র সংগঠনের একত্রিত সহাবস্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা এনেছে। প্রতিটি রাজনৈতিক দলের নিজস্ব মিশন ও ভিশন রয়েছে, যা তারা যুক্তিপূর্ণ প্রেক্ষাপটে তুলে ধরে। তবে এই ভিন্নতা সত্ত্বেও সকল দলের মধ্যে সংলাপ ও সমঝোতার ভিত্তিতে জুলাই বিপ্লবের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করা জরুরি।”

আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন:

  • জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন

  • যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ বিলাল হোসাইন

  • প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক    

  • ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহিদুল হক
    অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আপ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সদস্য মাসুদ রানা।

অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্দীন বলেন, “জুলাই বিপ্লবের স্বীকৃতি না পেলে ‘জুলাই যোদ্ধারা’ কেউই নিরাপদ নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে একাত্ম থাকা সবাই যেন বিভক্ত না হয়ে যায়, সেটি নিশ্চিত করা জরুরি। শহিদ, আহত ও পঙ্গুত্ব বরণকারীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়ন করে যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। জুলাই বিপ্লবকে ভবিষ্যতে যেন কেউ ‘মবোক্রেসি’ আখ্যা না দেয়, সে জন্য ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার।”

তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদের উৎপত্তির মূল কারণ হলো অবৈধ নির্বাচন ও বিচারব্যবস্থার ধ্বংস। এসব কারণ চিহ্নিত করে একটি জবাবদিহিমূলক সংস্কৃতি গড়ে তুললে ভবিষ্যতে কেউ আর ফ্যাসিবাদী শক্তিতে রূপ নিতে পারবে না।”

আলোচনায় আরও অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারা সবাই ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’-এর প্রয়োজনীয়তা, ভবিষ্যৎ পথনকশা ও ছাত্রসমাজের করণীয় নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”