ঢাকা ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ২২ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌরবের রানার্স আপ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

মো:জিসান রহমান। ‎ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ০৯:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫
  • / 13

দ্বিতীয়বারের মতো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) আয়োজিত জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ডিবেটিং সোসাইটি এবং রানার্স আপ হয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটি।

‎শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় পাবিপ্রবির কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। ফাইনালে উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্কে মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি দল) এবং মাভাবিপ্রবি (বিরোধী দল)। বিচারকমণ্ডলীর রায়ে বিজয়ী হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‎মাভাবিপ্রবির পক্ষে ফাইনালে যুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন শেখ মহসিন আহমেদ, ইনজামামুল হক জয় এবং জামিরুল আহমেদ মিয়াঁজী। দলটি তাদের ধারাবাহিক যুক্তি, তথ্যভিত্তিক বক্তব্য ও দক্ষ উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে।

‎এর আগে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) ডিবেটিং সোসাইটির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি। বিতর্কের বিষয় ছিল, এই সংসদ পরিবেশ, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনে সেলিব্রেটি ইনফ্লুয়েন্সারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রবণতাকে সমর্থন করে। বিতর্কে মাভাবিপ্রবি বিজয়ী হয় এবং ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

‎প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিতার্কিকরা আজ যে যুক্তির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা জ্ঞান ও চিন্তার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

‎এই প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল অংশ নেয়। আয়োজনটি পরিচালনা করে পাবিপ্রবির বিতর্ক সংগঠন পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি।

‎মাভাবিপ্রবির রানার্স আপ হওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি গৌরবময় অর্জন হিসেবে দেখছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কচর্চা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে এই অর্জন নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

৩২ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কে চ্যাম্পিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌরবের রানার্স আপ মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশঃ ০৯:২৩:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৬ জুলাই ২০২৫

দ্বিতীয়বারের মতো পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) আয়োজিত জাতীয় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বিতর্ক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ডিবেটিং সোসাইটি এবং রানার্স আপ হয়েছে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (মাভাবিপ্রবি) ডিবেটিং সোসাইটি।

‎শনিবার (৫ জুলাই) বিকেল ৫টায় পাবিপ্রবির কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয় প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্ব। ফাইনালে উত্তেজনাপূর্ণ বিতর্কে মুখোমুখি হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (সরকারি দল) এবং মাভাবিপ্রবি (বিরোধী দল)। বিচারকমণ্ডলীর রায়ে বিজয়ী হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

‎মাভাবিপ্রবির পক্ষে ফাইনালে যুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন শেখ মহসিন আহমেদ, ইনজামামুল হক জয় এবং জামিরুল আহমেদ মিয়াঁজী। দলটি তাদের ধারাবাহিক যুক্তি, তথ্যভিত্তিক বক্তব্য ও দক্ষ উপস্থাপনার মাধ্যমে দর্শকদের প্রশংসা অর্জন করে।

‎এর আগে দুপুর ১টায় অনুষ্ঠিত সেমিফাইনালে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (বিইউপি) ডিবেটিং সোসাইটির বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাভাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি। বিতর্কের বিষয় ছিল, এই সংসদ পরিবেশ, মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচার আন্দোলনে সেলিব্রেটি ইনফ্লুয়েন্সারদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণের প্রবণতাকে সমর্থন করে। বিতর্কে মাভাবিপ্রবি বিজয়ী হয় এবং ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে।

‎প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আবদুল আওয়াল। তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আগত বিতার্কিকরা আজ যে যুক্তির লড়াইয়ে অংশ নিয়েছে, ভবিষ্যতে তারা জ্ঞান ও চিন্তার মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।

‎এই প্রতিযোগিতায় দেশের ৩২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতার্কিক দল অংশ নেয়। আয়োজনটি পরিচালনা করে পাবিপ্রবির বিতর্ক সংগঠন পাস্ট ডিবেটিং সোসাইটি।

‎মাভাবিপ্রবির রানার্স আপ হওয়াকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একটি গৌরবময় অর্জন হিসেবে দেখছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিতর্কচর্চা ও সহশিক্ষা কার্যক্রমে এই অর্জন নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”