ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান ও জিএস পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম | ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী আবিদুল ইসলাম খান। তবে এটি শিক্ষার্থীদের প্রকৃত রায় হলে সম্মান জানাবেন বলে জানিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী শেখ তানভীর বারী হামিম।

মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে পৃথক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ট্যাটাসে তাঁরা নিজেদের অবস্থান জানান।

আবিদুল ইসলাম লিখেছেন, ‘পরিকল্পিত কারচুপির এই ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।’

অন্যদিকে, জিএস প্রার্থী হামিম তাঁর স্ট্যাটাসে বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যদি মনে করেন, এটিই তাঁদের রায়, তবে এই রায়কে আমি সম্মান জানাই। আমি শিক্ষার্থীদের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষামান। আজ সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা এ ভোটানুষ্ঠান উৎসবমুখর হলেও কয়েকটি কেন্দ্রে অনিয়ম হয়েছে।’

তিনি অভিযোগ করেন, ভোট গণনার সময় মেশিনের ত্রুটি, জালিয়াতি ও কারচুপি লক্ষ্য করা গেছে। তবে শিক্ষার্থীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে হামিম আরও লেখেন, ‘প্রিয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আমি বরাবরই আপনাদের ভালোবাসায় ঋণী। আমি আপনাদের সাথে ছিলাম, আছি এবং থাকব।’

এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন। দীর্ঘ ছয় বছর পর আয়োজিত এই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮টি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ হয়।

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ছিলেন ৬২ জন। ভিপি পদে ৪৫ জন, জিএস পদে ১৯ জন এবং এজিএস পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। তাঁদের মধ্যে ছাত্র ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”