নুরুল হুদা ও ভিসির পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল UIU, দাবি না মানলে শিক্ষার্থীদের অনশনের ডাক

ক্যাম্পাস ঢাকা বিভাগ বাংলাদেশ

 

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (UIU)-তে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে না পারা এক শিক্ষার্থীর ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। পিতার মৃত্যুর কারণে ছুটি নেওয়া সত্ত্বেও পরীক্ষার সুযোগ না পেয়ে ছাত্রসমাজ ক্ষোভে ফেটে পড়ে। পরবর্তীতে ন্যায়বিচারের দাবিতে তারা আন্দোলনে নামে।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, দাবি দমন করতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসের WiFi সংযোগ বন্ধ করে দেয়, ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে যোগাযোগ সংকট তৈরি হয়। একই সময় ক্যাম্পাসে দু’টি পুলিশ বাহিনীর গাড়ি প্রবেশ করে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।

শিক্ষার্থীরা এখন এক দফা এক দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে। CSE বিভাগের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা এবং UIU-র উপাচার্য অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়ার পদত্যাগ।

এর আগে UIU Reform 1.0 আন্দোলনের পরও কোনো উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না আসায় এবার বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ছাত্রসমাজ।

শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী, অধ্যাপক ড. রাকিব আহসান ভিসি পদে দায়িত্ব গ্রহণের প্রস্তুতি নিলে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয় এবং হুমকি দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, অধ্যাপক আবুল কাশেম মিয়া রাজনৈতিক প্রভাব ও আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে সরাসরি গণভবন থেকে ভিসি হিসেবে অবৈধভাবে নিয়োগ পান। দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই ক্যাম্পাসে দলীয়করণ, মেধাবী শিক্ষকদের অপসারণ, অযৌক্তিক নিয়ম চাপিয়ে দেয়া ও শিক্ষার্থীদের ওপর আর্থিক বোঝা চাপানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

বর্তমানে UIU-এর শত শত শিক্ষার্থী চরম হতাশা ও মানসিক চাপে ভুগছে। পরীক্ষায় ফেল করানোর অযৌক্তিক নিয়ম, স্বপ্নভঙ্গ এবং ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তার কারণে ক্যাম্পাসজুড়ে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ ও বেদনা।

এক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী বলেন, যদি একজন শিক্ষার্থী অন্যায় করলে তাকে বহিষ্কার করা হয়, তবে অবৈধভাবে ভিসি হওয়া ব্যক্তিরও বহিষ্কার হওয়া উচিত।

শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে যৌক্তিক দাবিসমূহ মেনে নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উপাচার্য নিয়োগ এবং শিক্ষাঙ্গনকে রাজনীতিমুক্ত রাখার দাবি জানিয়েছে।