রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শনিবার (১০ মে) গণজমায়েত শুরু হয়েছে। বিকেল ৩টায় কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, তা কার্যত শুরু হয় এক ঘণ্টা পরে, বিকেল ৪টায়। তবে এর আগেই, দুপুর থেকেই বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শাহবাগ মোড়ে জড়ো হতে থাকেন।
ইতোমধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ), জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)–সহ একাধিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা গণজমায়েতে অংশ নিয়েছেন। আরও দল ও সংগঠনের অংশগ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।
বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শাহবাগ মোড়ে উপস্থিত হন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতা সিবগাতুল্লাহ–সহ আরও অনেক নেতা।
ছবি: আলী আজগর ইসতিয়াক । প্রজন্ম কথা
অন্যদিকে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে গণমিছিল শুরু করে, যার নেতৃত্ব দেন দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা হাফেজ ইউনুছ আহমদ।
গণজমায়েত ও অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড় ও এর আশপাশের সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি সংযোগস্থলে পুলিশ ব্যারিকেড বসিয়েছে। শাহবাগে চলাচলকারী যানবাহনগুলোকে বিকল্প রুটে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, শুক্রবার (৯ মে) বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে একই স্থানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। এনসিপি নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাশে এক সমাবেশে আওয়ামী লীগকে ‘রাষ্ট্রদ্রোহী ও ফ্যাসিস্ট’ দল হিসেবে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানান। তিনি জানান, আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
রাত ১১টায় তিনি ঘোষণা দেন— পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে শনিবার বিকেল ৩টায় শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েত ও অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী আজকের কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, হাজারো মানুষের রক্তের বিনিময়ে আজকের আন্দোলন দাঁড়িয়ে আছে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা হলে আমরা ঘরে ফিরব না। তারা আরও বলেন, আমরা ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ চাই, যেখানে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের রূপরেখা থাকবে।
প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক
সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা
