কুরআন দিবস উপলক্ষে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রশিবিরের কুরআন ও বই বিতরণ

বাংলাদেশ

 

বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখার উদ্যোগে কুরআন দিবস উপলক্ষে অর্থসহ কুরআন ও ইসলামিক বই বিতরণ করা হয়।

রবিবার (১১ মে) সকাল ১১ টা থেকে বিকাল ৫টা পযর্ন্ত কুরআন দিবস উপলক্ষে এ কর্মসূচি চলমান থাকে।

সরেজমিনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় গিয়ে দেখা যায়, একটি ছাউনির নিচে সাজানো রয়েছে অসংখ্য কুরআন শরিফ, ইসলামিক বই, ছাত্রশিবিরের সমর্থক ফরম ও রিপোর্ট। শিক্ষার্থীরা সেখানে এসে কুরআন সংগ্রহ করছেন। কুরআনের সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে ‘কুরআন বুঝা সহজ’ ও ‘কুরআনের মর্ম কথা’ নামে দুটি সচেতনতামূলক বই। আয়োজকদের মধ্যে দায়িত্বশীলরা উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছেন এবং কর্মসূচির উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত প্রায় ৮০০শিক্ষার্থী কুরআন ও বই গ্রহণ করেছেন। কুরআন গ্রহণকারী শিক্ষার্থী ইকবাল হোসেন বলেন, ‘তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত নিয়মিত অর্থসহ কুরআন পাঠ করা। মানসম্মত প্রিন্টের এমন কুরআন বিতরণের জন্য জাবি শিবিরকোউড়ংয় ধন্যবাদ জানাই’।

৫১ ব্যাচের দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী  সাব্বির আহমেদ সাবিত বলেন, “আমরা ক্লাসে ব্যস্ত থাকি, ধর্মীয় শিক্ষার প্রতি মনোযোগ কমে যায়। কিন্তু আজ এখানে এসে উপলব্ধি করলাম—কুরআনের শিক্ষাও জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।”

শাখা শিবিরের প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেক্রেটারি শাফায়াত মীর বলেন, “আমরা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবির জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কোরআন দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন চর্চা বাড়াতে এবং কোরআনকে সহজলভ্য করে তুলতে কোরান বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করেছি। আমাদের কোরআন বিতরণ কর্মসূচির উপলক্ষ হল ১৯৮৫ সালে ভারতে কুরআনের কিছু আয়াতকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলে বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।সেখানে পুলিশ গুলি বিদ্ধ করলে আমাদের ৮ জন ভাই শাহাদাত বরণ করেন, সে বিষয়টিকেই ধরে রাখতে আমরা প্রতিবছর ১১মে কোরআন দিবস হিসেবে পালন করে থাকি।তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৫ সালের ১১মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে কোরআন বিতরন কর্মসূচি পালন করছি”

ছাত্র অধিকার সম্পাদক রায়হান উদ্দিন বলেন, “বর্তমানে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কুরআন পড়ার প্রবণতা কম। অথচ একজন মানুষকে সৎ ও দায়িত্ববান হিসেবে গড়ে তুলতে কুরআনের শিক্ষাই যথেষ্ট। এই কর্মসূচির মাধ্যমে সেই চেতনা জাগিয়ে তুলতে চাই। পবিত্র কুরআনের মর্যাদা রক্ষা করা ঈমানি দায়িত্ব। আমরা চাই, শিক্ষার্থীদের মাঝে কুরআনের সৌরভ ছড়িয়ে পড়ুক।” উক্ত কর্মসূচিতে অংশ নিতে শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

জাবি প্রতিনিধি: আমির ফয়সাল

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা