জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকীতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে নজরুল জয়ন্তী উদযাপন

বাংলাদেশ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সেমিনার ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বাংলা বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মনজুর রহমান। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম।

সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক আবদুল হাই শিকদার। তিনি তার বক্তব্যে নজরুলকে বাঙালি চেতনার মূলধারার প্রতিনিধি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের ভেতরে বিদ্রোহ, মানবতা, সাম্য ও ন্যায়ের যে দীপ্ত ছাপ রয়েছে, তার শিকড় নিহিত আছে নজরুলের লেখনীতে। নজরুল শুধুই কবি নন, তিনি এক সংগ্রামী সত্তা, যিনি ভাষা, ধর্ম, রাজনীতি ও সমাজচিন্তায় আমূল পরিবর্তনের আহ্বান জানিয়েছেন।”

তিনি আরও বলেন, “নজরুলের সৃষ্টি আমাদের জাতীয় চেতনার অন্যতম ভিত্তি। তার সাহিত্য-চিন্তা, বিশেষ করে সাম্য, ধর্মীয় সম্প্রীতি ও নারীর অধিকার বিষয়ে তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।”

অনুষ্ঠানে বক্তারা নজরুলের সাহিত্য ও আদর্শকে নতুন প্রজন্মের কাছে ছড়িয়ে দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং তাঁকে পাঠ্যপুস্তক, গবেষণা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে আরও ব্যাপকভাবে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।

আলোচনায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “মানুষের মুক্তি, সাম্য, মানবতা ও শোষণমুক্ত সমাজের স্বপ্ন কবি নজরুলের কবিতা ও গানে প্রতিফলিত হয়েছে। আজকের তরুণ সমাজের উচিত তার বিদ্রোহী চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধকে ধারণ করা। নজরুল আমাদের কণ্ঠের সুর, চেতনার ধ্বনি। তিনি আমাদের জাতীয় কবি হিসেবে এক অনন্য আলোকে উজ্জ্বল।”

অনুষ্ঠানের শুরুতে আমন্ত্রিত অতিথিদের উত্তরীয় ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয় এবং ঐতিহাসিক জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা