জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বাতিল, ইসিকে নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ

বাংলাদেশ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা বাতিল করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) দলটির নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আপিল বিভাগ।

রোববার (১ জুন) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে। বেঞ্চের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি জোবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি মো. রেজাউল হক।

দীর্ঘ এক যুগের আইনি লড়াইয়ের অবসান ঘটিয়ে এই রায়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আবারও দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সক্রিয়ভাবে ফেরার সুযোগ পেল। এমনকি আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয়ভাবে অংশগ্রহণের পথও উন্মুক্ত হলো।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতের করা আপিলের শুনানি শেষ হয় গত ১৪ মে। রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল ১ জুন।

জামায়াতের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী এহসান আব্দুল্লাহ সিদ্দিক ও মোহাম্মদ শিশির মনির। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে ছিলেন তৌহিদুল ইসলাম।

রায়ের পর সাংবাদিকদের শিশির মনির বলেন, “দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে চলা আইনি লড়াইয়ের সফল পরিণতি হলো আজকের রায়। জামায়াতে ইসলামী এখন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের মাধ্যমে আবারও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল হিসেবে ফিরে এলো।”

এছাড়াও তিনি আশবাদী খুব দ্রুত নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরিয়ে দিবে।

যদিও দলটির ঐতিহ্যবাহী দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ফিরে পাওয়ার বিষয়ে সরাসরি কোনো নির্দেশনা দেয়নি আপিল বিভাগ, তবে বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের বিবেচনার জন্য রেখে দিয়েছে।

রায়ের পর এক ফেসবুক পোস্টে শুকরিয়া প্রকাশ করে জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বলেন, “আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি, যেন দ্রুত আমাদের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেয়।”

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে হাইকোর্টে একটি রিটের প্রেক্ষিতে জামায়াতে ইসলামীর রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

 

প্রতিবেদক: হেলালুজ্জামান