ফের বাড়ছে করোনা শনাক্ত, দেশে একজনের মৃত্যু

বাংলাদেশ

ফের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধির আভাস মিলেছে। ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি এবং দেশের অভ্যন্তরেও নতুন করে শনাক্ত ও মৃত্যুর ঘটনা জনমনে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। ঈদুল আজহার ছুটির আমেজের মধ্যেই জনসমাগম বাড়ায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়।

রোববার (৮ জুন) স্বাস্থ্য অধিদফতরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় চারজনের করোনা পরীক্ষা করা হলে তার মধ্যে তিনজনের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। একই সময়ে ছয়জন রোগী সুস্থ হলেও নতুন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।

তবে, চলতি মাসের ৫ জুন দেশে একজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে, যা দীর্ঘদিন পর করোনাজনিত মৃত্যুর তালিকায় নতুন সংযোজন। এখন পর্যন্ত দেশে মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৪২ জন, সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬৩ জন এবং মারা গেছেন ২৯ হাজার ৫০০ জন।

সাম্প্রতিক সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ঈদের পরবর্তী সময়ে ঘরমুখো মানুষদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে ট্রেনের যাত্রাপথে যাত্রীদের মাস্ক ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকেও জনসমাগমপূর্ণ এলাকা এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। বয়স্ক ও শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিদের এই সময়ে অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ২০২১ সালের ৫ ও ১০ আগস্ট তারিখে সর্বাধিক ২৬৪ জন করে প্রাণ হারিয়েছিলেন করোনায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক এই বৃদ্ধি এখনই মারাত্মক নয়, তবে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব বলে মত দিয়েছেন তারা।

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় নাগরিকদের ব্যক্তিগত সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণই এখন সবচেয়ে বড় হাতিয়ার। আগাম সতর্কতা হিসেবে মাস্ক পরা, জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করার মতো অভ্যাসগুলো আবারও ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা