গৃহকর্মীদের অধিকার নিশ্চিতকরণে সমন্বিত পদক্ষেপের আহ্বান

- প্রকাশঃ ০৯:১৩:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫
- / 6
রাজধানীর লালমাটিয়ার এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হল | ছবি: প্রজন্ম কথা
গৃহকর্মীদের অধিকার, সুরক্ষা ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন সরকার ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তাদের মতে, সরকার ২০১৫ সালে গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি গ্রহণ এবং আইএলও কনভেনশন–১৮৯ সমর্থন করলেও গৃহকর্মীরা এখনো আইনগত স্বীকৃতি, চাকরির চুক্তি, ন্যায্য মজুরি ও সামাজিক সুরক্ষা থেকে বঞ্চিত। ফলে তারা নানামুখী চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর লালমাটিয়ার এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হলে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) ও গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরাম আয়োজিত সংলাপে এ দাবি জানানো হয়। সময় এখন, গৃহকর্ম ও গৃহকর্মীর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির। শ্রমিক হিসেবে শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্তির শীর্ষক এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন মোহাম্মদপুর গৃহকর্মী আঞ্চলিক ফোরামের সভাপতি হুমায়ারা বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডিএসকের প্রকল্প কর্মকর্তা শংকর চন্দ্র অধিকারী।
রাজধানীর লালমাটিয়ার এনজিও ফোরাম কনফারেন্স হল | ছবি: প্রজন্ম কথা
সংলাপে বক্তব্য দেন সমাজসেবা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা ফসিহ উদ্দিন, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা নাসরিন আহমেদ, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফুন নাহার, শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আহসান হাবিব বুলবুল, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের শিল্পী সাহা, ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের শাহিদা পারভীন শিখা, সুনীতি প্রকল্পের ব্যবস্থাপক আফরিন আক্তারসহ অনেকে।
শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, গৃহকর্মের কাজ আর অদৃশ্য থাকতে পারে না। এ কাজে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তদারকি ও শোষণ-নির্যাতন রোধে শক্তিশালী ব্যবস্থা জরুরি। এ বিষয়ে কমিশনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে ইতোমধ্যে ২৮টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গৃহকর্মীদের শ্রম আইন ও সামাজিক সুরক্ষার কাঠামোর আওতায় আনার বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সরকারি কর্মকর্তারা জানান, সরকার গৃহকর্মীদের অবদানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে এবং তাদের অধিকার, ন্যায্য আচরণ ও সামাজিক সুরক্ষা প্রদানে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এজন্য অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে কার্যকর নীতি বাস্তবায়ন করা হবে।
বক্তারা বলেন, টেকসই পরিবর্তনের মূল চাবিকাঠি হলো সম্মিলিত সহযোগিতা। সরকার, শ্রমিক সংগঠন ও নাগরিক সমাজ একসঙ্গে কাজ করলে গৃহকর্মীদের দক্ষতা, স্বীকৃতি ও মর্যাদা অর্জনের পথ সুগম হবে।