ঢাকা ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশুসন্তান নিয়ে অনিশ্চয় ভবিষ্যতের পথে ডলি

তুর্য দাস। সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশঃ ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • / 10

ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের ডলি বেগম মাত্র ২৫ বছর বয়সেই স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। স্বামী আবু সাঈদ সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে নিহত হওয়ার পর ভেঙে পড়েছেন তিনি।

নিহতের পরিবার জানায়, পেশায় স্যানেটারি মিস্ত্রি আবু সাঈদ গত ২২ জুন সকালে কাজের জন্য বেরিয়ে বিকেলে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন সাত বছরের মেয়ে তাকিয়া ও সাত মাস বয়সী শিশু তানজিনকে।

কান্নাজড়িত গলায় ডলি বেগম বলেন, আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতেন না। দিনমজুর মানুষটা গুলিতে মরবে এটা ভাবতেই পারি না। এখন সন্তানদের কীভাবে মানুষ করব, জানি না। আপনারা দোয়া করবেন, যাতে আমার মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার না হয়।

নিহতের ভাই কিবরিয়া বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সরাসরি হাত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, জালিয়াতিসহ অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একরার হোসেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি গ্রুপ এলাকায় নিয়মিত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরে মহড়া চালায়। ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুধু আবু সাঈদের পরিবার নয়, পুরো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”

শেয়ার করুন

সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশুসন্তান নিয়ে অনিশ্চয় ভবিষ্যতের পথে ডলি

প্রকাশঃ ১১:৫০:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ছবি: প্রজন্ম কথা


সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার তারাপাশা গ্রামের ডলি বেগম মাত্র ২৫ বছর বয়সেই স্বামীকে হারিয়ে দুই শিশু সন্তান নিয়ে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। স্বামী আবু সাঈদ সেনা-সন্ত্রাসী সংঘর্ষে নিহত হওয়ার পর ভেঙে পড়েছেন তিনি।

নিহতের পরিবার জানায়, পেশায় স্যানেটারি মিস্ত্রি আবু সাঈদ গত ২২ জুন সকালে কাজের জন্য বেরিয়ে বিকেলে কুলঞ্জ ইউনিয়নের হাতিয়া গ্রামে সেনাবাহিনী ও সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন সাত বছরের মেয়ে তাকিয়া ও সাত মাস বয়সী শিশু তানজিনকে।

কান্নাজড়িত গলায় ডলি বেগম বলেন, আমার স্বামী কোনো রাজনীতি করতেন না। দিনমজুর মানুষটা গুলিতে মরবে এটা ভাবতেই পারি না। এখন সন্তানদের কীভাবে মানুষ করব, জানি না। আপনারা দোয়া করবেন, যাতে আমার মেয়েদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার না হয়।

নিহতের ভাই কিবরিয়া বৃহস্পতিবার জগন্নাথপুর থানায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, এ ঘটনায় কুলঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা একরার হোসেনের সরাসরি হাত রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, অস্ত্রবাজি, চাঁদাবাজি, জালিয়াতিসহ অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, একরার হোসেনের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি গ্রুপ এলাকায় নিয়মিত বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও হেলমেট পরে মহড়া চালায়। ভোট কেন্দ্র দখল, ব্যালট ছিনতাই, স্কুলের অর্থ আত্মসাৎ ও শিক্ষকদের মারধরের ঘটনাও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় শুধু আবু সাঈদের পরিবার নয়, পুরো এলাকার মানুষ আতঙ্কিত। এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”