দেশের বৃহত্তম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে, যার অধীনে বর্তমানে দেশের প্রায় ২২০০ কলেজে শিক্ষাদান পরিচালিত হচ্ছে। প্রতিবছর লক্ষাধিক শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করলেও, প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর প্রথম ও একমাত্র সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি।
গাজীপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত সেই সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সভাপতিত্ব করেন এবং প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার শিক্ষার্থী অংশগ্রহণের জন্য নিবন্ধন করেন। দেশের ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ এই আয়োজন শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করলেও, তা আর পুনরাবৃত্তি হয়নি।
সমাবর্তনের দীর্ঘ অনুপস্থিতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অসন্তোষ। অনেকেই বলছেন, শিক্ষা জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তাঁরা।
এ বিষয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী সমাবর্তনের বিষয়ে পরিকল্পনা চলছে, তবে বাজেট ও ব্যবস্থাপনা জটিলতার কারণে তা বাস্তবায়ন সময়সাপেক্ষ।
এ নিয়ে ইতোমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বহীনতা ও শিক্ষার্থীদের হতাশার চিত্র উঠে এসেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়মিত সমাবর্তনের ব্যবস্থা না থাকা শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার ঘাটতি তৈরি করে। তাই অবিলম্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি স্থায়ী সমাবর্তন পরিকল্পনাদে হাতে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা।
ক্যাম্পাস প্রতিনিধি
ফারহান আনিস