যুক্তরাষ্ট্রের সেনা দিবসে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

আন্তর্জাতিক

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ২৫০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী বা সেনা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে জাঁকজমকপূর্ণ কুচকাওয়াজের আয়োজন করা হয়। এতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও উপস্থিত ছিলেন।

তবে ঠিক এই সময়েই দেশের নানা শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে।

সিএনএন জানায়, ওয়াশিংটন ডিসি ছাড়াও নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, টেক্সাস, ফিলাডেলফিয়া এবং হিউস্টনের মতো শহরগুলোতেও ছিল ট্রাম্পের কর্তৃত্ববাদী নীতিবিরোধী বিক্ষোভে মানুষের ঢল দেখা গেছে।

স্থানীয় সময় শনিবার (১৪ জুন) মার্কিন সেনাবাহিনীর ২৫০তম জন্মদিন এবং একইসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ৭৯তম জন্মবার্ষিকী ছিল। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় জাতীয় রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয় সামরিক কুচকাওয়াজ, যেখানে ট্রাম্প উপস্থিত হলে তাকে ২১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে অভ্যর্থনা জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সেনাসদস্য ও অতিথিরা একসাথে ‘শুভ জন্মদিন তোমাকে’ গান গেয়ে তাকে অভিনন্দন জানান।

এ সময়, ভাষণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী ও সাহসী। আমেরিকার শত্রুরা বারবার দেখেছে—যদি কেউ আমাদের জনগণকে হুমকি দেয়, আমাদের সেনারা তাকে রুখে দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তার পরাজয় ও ধ্বংস নিশ্চিত।”

তবে একই সময়ে ওয়াশিংটনের অন্য প্রান্তে ‘নো কিংস’ নামের একটি ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা ট্রাম্পের একনায়কতান্ত্রিক মনোভাব ও প্রশাসনিক নীতির বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।

বিক্ষোভ আয়োজকদের দাবি অনুযায়ী, দেশের বিভিন্ন শহরে লক্ষাধিক মানুষ এসব বিক্ষোভে অংশ নেন। ওয়াশিংটনের প্রতিবাদে নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ, আইনপ্রণেতা ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা অংশ নেন।

বিক্ষোভের বিষয়ে ফিলাডেলফিয়ার লাভ পার্কে ৬১ বছর বয়সী নার্স কারেন ভ্যান বলেন, “আমার মনে হয়, আমাদের গণতন্ত্র এখন হুমকির মুখে। ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে জনস্বাস্থ্য খাত থেকে কর্মীদের যেভাবে ছাঁটাই করা হয়েছে, তার বিরুদ্ধেই আমি এখানে এসেছি।

প্রতিবেদক: রুশাইদ আহমেদ

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন- “প্রজন্ম কথা”