১৪ এপ্রিল ২০২৫, ওয়াশিংটন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে আবারও বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দায়ী করে বলেন, “নিজের চেয়ে বিশ গুণ বড় প্রতিপক্ষের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু করা এবং তারপর অন্যদের কাছ থেকে মিসাইলের আশায় থাকা—এটা কোনো কৌশল নয়।” ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইউক্রেনের যুদ্ধনীতি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের সমালোচনার ধারাবাহিকতা।
ডিসেম্বর ২০২৪-এ প্যারিসে জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে ইউক্রেনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা একতরফা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেও রাশিয়া তা প্রত্যাখ্যান করেছে। জেলেনস্কি বলেন, “পুতিন কখনও যুদ্ধ শেষ করতে চায়নি। তিনি আমাদের স্বাধীনতা চাননি, বরং আমাদের সার্বভৌমত্ব এবং আমাদের মানুষকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে চেয়েছেন।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইউক্রেনের যুদ্ধনীতি নিয়ে তার দীর্ঘদিনের সমালোচনার ধারাবাহিকতা। তিনি পূর্বেও বলেছেন, তার প্রশাসন থাকলে এই যুদ্ধ শুরুই হতো না। তবে তার এই বক্তব্য ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য ইউক্রেনের প্রতি মার্কিন সমর্থন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। বিশেষ করে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং পশ্চিমা সহায়তা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এই প্রেক্ষাপটে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ট্রাম্পকে ইউক্রেন সফরের আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে তিনি রাশিয়ার ধ্বংসযজ্ঞ নিজ চোখে দেখতে পারেন। জেলেনস্কি বলেন, “যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অনুরোধ করছি—আসুন, আমাদের জনগণকে, বেসামরিক মানুষদের, যোদ্ধাদের, হাসপাতাল, গির্জা, ধ্বংসপ্রাপ্ত বা নিহত শিশুদের দেখে যান।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্য এবং জেলেনস্কির প্রতিক্রিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশেষ করে যখন ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছে এবং পশ্চিমা সহায়তা তাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রতিবেদক: আলী আজগর ইসতিয়াক