সৌদি যুবরাজ খালিদ বিন সালমানের খামেনির সঙ্গে বৈঠক, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বরফ গলছে?

আন্তর্জাতিক

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও যুবরাজ খালিদ বিন সালমানের সাম্প্রতিক বৈঠক মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রভাবশালী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তেহরানে অনুষ্ঠিত এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যুবরাজ খালিদ সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের একটি বার্তা ইরানি নেতার কাছে হস্তান্তর করেন। বার্তাটিতে পারস্পরিক সহযোগিতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার আগ্রহ প্রকাশ করা হয়।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার পর এই বৈঠককে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি “গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক” হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। যদিও পরমাণু প্রযুক্তি সংক্রান্ত কিছু অননুমোদিত গুঞ্জন এ আলোচনার স্পর্শকাতরতা তুলে ধরেছে, তবু উভয় পক্ষ ভবিষ্যতের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আগ্রহী বলে আভাস পাওয়া গেছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. হামিদ রেজা বলেন, “এই বৈঠক মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তির মধ্যে দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা উন্মোচন করছে। তবে বাস্তব অগ্রগতি নির্ভর করবে ভবিষ্যতে কূটনৈতিক স্তরে গৃহীত পদক্ষেপ ও পারস্পরিক আস্থার ওপর।”


আরও পড়ুন

তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেবে রাশিয়া, কোন পথে বিশ্ব রাজনীতি?


বিশ্লেষকদের আরও মতে, এই রকম উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুধু দ্বিপাক্ষিক নয়, বরং গোটা অঞ্চলের রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।২০১৬ সালে এক শিয়া ধর্মগুরুর মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জেরে রিয়াদ-তেহরান সম্পর্ক চরম অবনতির দিকে গিয়েছিল। তবে ২০২৩ সালে চীনের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে আবার কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয় এবং সীমিত পর্যায়ে কূটনৈতিক ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়।

বর্তমানে, সৌদি আরব ও ইরান—উভয় দেশই ভূ-রাজনৈতিক প্রভাব ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়নে আগ্রহী।