পাইলট তৌকিরের মৃত্যুতে রাজশাহীতে শোকের ছায়া
- প্রকাশঃ ০৮:৫৩:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
- / 3
ঢাকার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে স্কোয়াড্রন লিডার তৌকির ইসলাম সাগরের মৃত্যুতে রাজশাহীতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। মেধাবী এই তরুণ কর্মকর্তার মৃত্যুতে উপশহরের ‘আশ্রয়’ ভবনের সামনে ভিড় করেছেন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। কেউ নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে, কেউবা কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।
তৌকিরের পরিবার রাজশাহী শহরের উপশহরের ৩ নম্বর সেক্টরের ২২৩ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকতেন। তার বাবা তহুরুল ইসলাম, মা সালেহা খাতুন ও ছোট বোন সৃষ্টি খাতুন রয়েছেন শোকসন্তপ্ত অবস্থায়।
সোমবার বিকেল পর্যন্ত পরিবারের বাসার সামনে দেখা যায় নিহত তৌকিরের মামা রফিকুল ইসলামকে। তিনি জানান, বিকেল ৫টার দিকে র্যাবের একটি গাড়িতে করে তৌকিরের বাবা-মা, ছোট বোন সৃষ্টি, তার স্বামী তুহিন ইসলাম ও অপর এক মামা মোহাম্মদ আলীকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে শাহ মখদুম বিমানবন্দর থেকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
তৌকিরের একক প্রশিক্ষণ ফ্লাইটে অংশ নেওয়ার খবর পেয়ে পরিবারে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু দুপুরের পর দুর্ঘটনার খবরে সেই আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয় বিষাদে। পরিবারের সদস্যরা শুরুতে জানতেন তৌকির আহত অবস্থায় ঢাকার সিএমএইচে চিকিৎসাধীন। সে কারণে তাঁরা ঢাকায় যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেন। পরে, হেলিকপ্টারে রওনা হওয়ার আগেই জানতে পারেন, তৌকির আর বেঁচে নেই।
তৌকির ইসলাম সাগরের গ্রামের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার চককীর্তি ইউনিয়নে। ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। ছোট বোন সৃষ্টি বিবাহিত ও রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস তৃতীয় বর্ষে অধ্যয়নরত।
