কোয়েটাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে পিএসএল চ্যাম্পিয়ন সাকিব-রিশাদ-মিরাজ দের লাহোর কালান্দার্স

ক্রিকেট

২০২৫ সালের পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) চ্যাম্পিয়ন হয়েছে লাহোর কালান্দার্স। শ্বাসরুদ্ধকর এক ফাইনালে ১ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে নিজেদের ঘরে তোলে আরেকটি শিরোপা। জয়ের পেছনে মূল অবদান রাখেন কুশল পেরেরা, সিকান্দার রাজা এবং বাংলাদেশের উদীয়মান লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন।

লাহোরের একাদশে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তবে দলের অংশ হিসেবে শিরোপা জয়ের সাক্ষী হলেন মিরাজ, যদিও কোনো ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি। অন্যদিকে রিশাদ হোসেন পেয়ে যান বড় মঞ্চে নিজেকে প্রমাণের সুযোগ। বল হাতে ৪ ওভারে ৪২ রান খরচ করলেও কোয়েট্টার বিপজ্জনক ব্যাটার আভিষ্কা ফার্নান্দোর উইকেট তুলে নিয়ে দলকে এনে দেন গুরুত্বপূর্ণ ব্রেকথ্রু।

টসে হেরে ব্যাট করতে নামা কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটর্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে তোলে ২০১ রান। শক্ত প্রতিপক্ষের এমন সংগ্রহ সত্ত্বেও লাহোরের আত্মবিশ্বাসে কোনো ঘাটতি ছিল না।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে লাহোর শুরুতেই হারায় ওপেনার ফখর জামানকে। মাত্র ১১ রানে বিদায় নেন তিনি। তবে আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম রীতিমতো ঝড় তোলেন কোয়েট্টা বোলারদের ওপর। ৬টি ছক্কা ও ১টি চারে মাত্র ২৭ বলে ৪৬ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি।

তিনে নামা আবদুল্লাহ শফিকও দলকে বড় ভরসা দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ বলে ৪১ রান। লঙ্কান ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকসে ব্যর্থ হলেও আরেক লঙ্কান কুশল পেরেরা ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। কোয়ালিফায়ার ম্যাচের মতোই ফাইনালেও তার ব্যাট কথা বলে। ৩১ বলে ৬২ রানের হার না মানা ইনিংসে দলকে এগিয়ে নিয়ে যান পেরেরা।

শেষদিকে দ্রুত রান তোলার চাপে পড়া লাহোরের হাল ধরেন সাকিব আল হাসানের পরিবর্তে খেলতে নামা সিকান্দার রাজা। মাত্র ৭ বলের মোকাবেলায় ২২ রানের ক্যামিও খেলে দলকে পৌঁছে দেন বিজয়ের দোরগোড়ায়।

রোমাঞ্চকর ফাইনালের শেষে এক বল বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে লাহোর কালান্দার্স। রিশাদ হোসেনের উইকেট, নাইমের ঝড়ো শুরু, পেরেরার দায়িত্বশীল ইনিংস এবং রাজার ম্যাচ ফিনিশিং—সব মিলিয়ে পিএসএলের ২০২৫ আসর হয়ে থাকল লাহোরের জন্য আরেকটি গৌরবগাথা।

প্রতিবেদক: মুশফিকুর রহমান মিরাজ

সর্বশেষ খবর পেতে অনুসরণ করুন-“প্রজন্ম কথা