প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে হারের পর ঘুরে দাঁড়াতে চায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় লাহোরের ঐতিহ্যবাহী গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
সিরিজে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশের সামনে এখন সমতা ফেরানোর সুযোগ। তবে সেই চ্যালেঞ্জটা মোটেই সহজ নয়।
সিরিজের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটিং তাণ্ডবে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয় বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণ। সালমান আলী আঘা (৫৬), শাদাব খান (৪৮) ও হাসান নাওয়াজ (৪৪)-এর ঝড়ো ইনিংসে পাকিস্তান তোলে ২০১ রান। বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ কার্যত ছিল নিরুত্তর।
পেসার শরিফুল ইসলাম কিছুটা লড়াই করলেও (২ উইকেট), বাকিদের বোলিং ছিল খরচের খাতায়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ১৬৪ রানে। ওপেনার লিটন দাস ৪৮ এবং জাকের আলী ৩৬ রান করলেও মিডল অর্ডার একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে।
বিশেষ করে হাসান আলীর বিধ্বংসী স্পেল (৫ উইকেট, ৩০ রান) ও শাদাব খানের নিয়ন্ত্রিত বোলিং (২ উইকেট, ২৬ রান) একপ্রকার বিধ্বস্ত করে টাইগার ব্যাটিং লাইনআপকে।
দলের মনোবল ফিরিয়ে আনার জন্য দ্বিতীয় ম্যাচে প্রয়োজন পরিকল্পিত ব্যাটিং এবং আরো সংহত বোলিং আক্রমণ।
উইকেট অনুযায়ী স্পিনারদের ভূমিকা হবে গুরুত্বপূর্ণ, তবে বোলিংয়ে বৈচিত্র্য না আনলে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের দাপট সামাল দেওয়া কঠিন।
ব্যাটিং অর্ডারে শৃঙ্খলা এবং মিডল অর্ডারে ধৈর্যপূর্ণ পারফরম্যান্স না থাকলে ২০০+ রানের চ্যালেঞ্জের জবাব দেওয়া সম্ভব নয়। একইসঙ্গে ফিল্ডিংয়ে ফাঁকফোকর মেরামত করাও জরুরি।
আজকের ম্যাচটি টাইগারদের জন্য ‘ডু অর ডাই’। পরাজয় মানেই সিরিজ হাতছাড়া।
পাকিস্তানের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে দর্শকদের চাপও থাকবে অতিরিক্ত, যা হতে পারে দুই দলের জন্যই প্রভাব ফেলবার মতো একটি ফ্যাক্টর।
ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের স্কোরবোর্ডে—টাইগাররা কি পারবে আজ ঘুরে দাঁড়াতে?
