পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি কোচিং সেন্টারে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয়দের তাৎক্ষণিক প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও কোচিং সেন্টারের অভ্যন্তরীণ আসবাবপত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৩টার দিকে উপজেলার পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উৎকণ্ঠা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
ভুক্তভোগী কোচিং সেন্টারের মালিক মাওলানা মো. নুরুল আমিন জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বেল্লাল ফরাজীর সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। সম্প্রতি বিষয়টি স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয় এবং জমির মালিকানা তার অনুকূলে নির্ধারিত হয়। তিনি অভিযোগ করেন, “বিকেলে বেল্লাল ফরাজী এসে আমার কোচিং সেন্টারে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর রাতেই আগুন লেগে যায়।”
স্থানীয় বাসিন্দা খোকন ফরাজী ও আব্দুল আজিজ দাবি করেন, “রাত আনুমানিক ৩টার দিকে আমরা বেল্লাল ফরাজীকে ঘটনাস্থলের আশপাশে রাস্তা দিয়ে যেতে দেখেছি।”
তবে অভিযুক্ত বেল্লাল ফরাজী তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আমিনুল ইসলাম বারেক জানান, “জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল এবং বিকেলে কোচিং সেন্টারে তালা লাগানোর ঘটনা আমি শুনেছি। সকালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পাই।”
এ বিষয়ে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বলেন, “পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
অগ্নিকাণ্ডের প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও দায়ীদের শনাক্তে স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেবে বলে প্রত্যাশা এলাকাবাসীর। একই সঙ্গে, জমি সংক্রান্ত বিরোধ যাতে সামাজিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে না ফেলে, সে বিষয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।