ফুটবলের মঞ্চে আরেকটি অবিস্মরণীয় সেমিফাইনাল ম্যাচে স্পেন ৫-৪ গোলের রোমাঞ্চকর ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে জায়গা করে নিয়েছে ফাইনালে। এই ম্যাচ ছিল উত্তেজনা, দক্ষতা এবং নাটকীয়তার এক অপূর্ব সমন্বয়, যা দর্শকদের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আসনের প্রান্তে বসিয়ে রেখেছিল।
প্রথমার্ধজুড়ে ফ্রান্স মাঠে তাদের তারকা-খচিত লাইনআপ দিয়ে আধিপত্য বিস্তার করে। মিডফিল্ড ও আক্রমণভাগে তাদের মসৃণ সমন্বয় স্পষ্ট ছিল। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে ফ্রান্সের তারকা স্ট্রাইকার এক দুর্দান্ত গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। এরপর ৩০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে করা আরেকটি গোল স্কোরলাইন ২-০ করে ফেলে।
স্পেনের রক্ষণভাগ তখন কিছুটা বিপর্যস্ত দেখা গেলেও, গোলকিপারের কয়েকটি অসাধারণ সেভ তাদের খেলায় টিকিয়ে রাখে।
বিরতির পর যেন এক নতুন রূপে মাঠে নামে স্পেন। কোচের কৌশলগত পরিবর্তন এবং তরুণ মিডফিল্ডারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দেয়।
৫৫ মিনিটে স্পেনের উইঙ্গার দূরপাল্লার শটে গোল করে ব্যবধান কমিয়ে আনেন (২-১)। ৬৫ মিনিটে কর্নার থেকে হেডে করা গোলে স্পেন সমতায় ফেরে।
তবে ফ্রান্স পাল্টা আক্রমণে আবারও গোল করে এগিয়ে যায় ৭০ মিনিটে। কিন্তু স্পেনের দল হাল ছাড়েনি। ৭৮ মিনিটে একটি দুর্দান্ত টিম গোলের মাধ্যমে তারা আবার সমতা আনে (৩-৩)।
৮৫ মিনিটে ফ্রান্স ফের এগিয়ে যায় ৪-৩ ব্যবধানে, কিন্তু স্পেনের অধিনায়ক অসাধারণ এক ফ্রি-কিকে গোল করে ৮৮ মিনিটে ম্যাচ ৪-৪ করে তোলেন।
অতিরিক্ত সময়ে ম্যাচে জমে ওঠে নাটকীয়তা। ৯২ মিনিটে স্পেনের তরুণ স্ট্রাইকার একটি দ্রুত পাল্টা আক্রমণ থেকে গোল করে দলকে ৫-৪ এগিয়ে দেন। শেষ দিকে ফ্রান্স মরিয়া হয়ে সমতায় ফেরার চেষ্টা করে, কিন্তু স্পেনের রক্ষণভাগ সেই চাপ সামলে রাখে।
স্পেনের এই জয় এসেছে দলীয় প্রচেষ্টা ও কৌশলগত দক্ষতার মাধ্যমে। অধিনায়কের ফ্রি-কিক গোল এবং তরুণ স্ট্রাইকারের শেষ মুহূর্তের লক্ষ্যভেদ ভক্তদের মনে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ফ্রান্সের তারকা খেলোয়াড়রা দারুণ খেললেও, স্পেনের সম্মিলিত কৌশলের কাছে তারা শেষ পর্যন্ত পরাস্ত হয়েছে।
এই জয়ের মাধ্যমে স্পেন উঠেছে ফাইনালে, যেখানে তারা শিরোপার জন্য লড়বে। ফ্রান্সের বিদায় কিছুটা হতাশাজনক হলেও, এই সেমিফাইনাল ম্যাচ ফুটবলের রোমাঞ্চকর সৌন্দর্য আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে।
